Announcement

১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ মে, তদানিন্তন রংপুর জেলার নীলফামারী মহাকুমা সদরে স্থানীয় গণ্যমান্য ও শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিবর্গের উদ্যোগে নীলফামারী কলেজের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে রাজশাহী বোর্ড ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পাশ কোর্সের যাত্রা শুরু। খুব অল্প পরিসরে এবং মাত্র কয়েকটি বিষয় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক শ্রেণির পাঠদানের মাধ্যমে এই কলেজের যাত্রা শুরু হলেও স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে এবং নীলফামারী মহাকুমাকে জেলায় রূপান্তরের সাথে সাথে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কলেবর বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং সময়ের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে এই মহাবিদ্যালয় দেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ হিসেবে স্বীকৃত ।বর্তমানে এই কলেজ ক্যাম্পাসের জমির পরিমান ২৪.২৫ একর। মোট ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১০,০০০(দশ হাজার) জন। ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ২টি আবাসিক হোস্টেল রয়েছে। শুরুতে শুধু উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে পাঠ দানের নিমিত্তে সার্বিক কাঠামো এবং পাঠদানের পরিকল্পনা সীমিত থাকলেও বর্তমান সময়ের চাহিদায় এর পরিসীমা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রয়োজনের তাগিদে ১৯৭৯ সালে সরকারি করণের পর থেকে পর্যায়ক্রমিকভাবে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে পাঠদানসহ স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পাঠদান অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে এই কলেজে মোট ১৪ টি বিষয়ে মাস্টার্স (শেষ পর্ব) পাঠদানের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। নীলফামারী সরকারি কলেজের বর্তমানে অনার্সভুক্ত বিভাগসমূহ হলো; কলা অনুষদে ৭টি যথা-বাংলা,ইংরেজি,ইতিহাস,দর্শন, রাষ্ট্রাবিজ্ঞান,অর্থনীতি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি। বিজ্ঞান অনুষদে ৫টি যথা-পদার্থ, রসায়ন,উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা, ও গণিত। বাণিজ্য অনুষদে ২টি যথা-ব্যবস্থাপনা ও হিসাববিজ্ঞান। ১৯৯৭-১৯৯৮ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বারের মতো অনার্স বিষয়ে পাঠদান শুরু হয়ে বর্তমান সময় পর্যন্ত আরও যুগোপযোগী বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালুর প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। অধ্যক্ষ প্রফেসর লায়লা আরজুমান্দ বানু প্রচেষ্টায় ২০০৯-১০ শিক্ষা বর্ষ থেকে বাংলা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্স (ফাইনাল) কোর্স চালু হয়েছে। ছাত্র ছাত্রীদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ, শারীরিক ও মানসিক গঠন বৃদ্ধি সর্বোপরি দেশের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে অত্র কলেজে প্রতি শিক্ষাবর্ষে নিয়মমাফিক সহপাঠ্যক্রমিক ও সহশিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও শৃঙ্খলা, নিয়ম মাফিক সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমি ও সহশিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তীতা ও সেবা ধর্মী কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে বিএনসিসি, রোভার স্কাউতস্ ও যুব রেড ক্রিসেন্ট-এর মতো স্বেচ্ছাসেবা সংগঠন চালু রয়েছে।